জনমত গঠন ও রাজনৈতিক আন্দোলন

1. পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ও হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা।
2. সকল জুলাই শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, স্থায়ী পুনর্বাসন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আজাদী, এবং শরীরিক-মানসিকতা স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। আওয়ামীলীগ আমলে সকল গুম, হত্যা, অবিচারসহ গণহত্যা পিলখানা, শাপলা হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক চাপ দেওয়া।
3. আপমর বাংলার সংস্কৃতি ও বাঙালি মুসলমানদের সাংস্কৃতি পূর্ণজীবিত করে, বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরে আনতে কাজ করা।
4. সকল আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করে আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তিতে দীর্ঘ মেয়াদী কাজ করা।
5. বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গৌরবান্বিত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মবিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে উদ্যমী হওয়া।
6. সকল ধর্মের মানুষের আচার-অনুষ্ঠানকে সম্মান প্রদর্শন, নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা। সকল ধর্মের অনুসারীদের মাঝে; কিংবা পাহাড়ি ও সমতলের মানুষের মধ্যে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করা।
7. বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা, শালীন সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল সেক্টরের নারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। সকল ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার, ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে জনগনকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাওয়া।
8. দেশের সকল সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, পাহাড়ি, জেলে সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাইভেট সেক্টরের সাথে সমন্বয় করে টেকসই অর্থনৈতিক আজাদি নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়া৷
9. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
10. শিক্ষা, সরকারি-বেসরকারি চাকরি, স্বাস্থ্যসহ সকল খাতে সব ধরনের কোটা, বৈষম্য দূর করে মেধাকে প্রধান্য দিয়ে নারী-পুরুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। বেকার যুব সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নতুন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করা।
11. আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে 'উইন-উইন' ভিত্তিতে সম্প্রসারণ করা এবং রাষ্ট্রকে যেকোনো ধরনের আধিপত্যবাদী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি থেকে দূরে রাখতে চাপ সৃষ্টি করা। একই সঙ্গে, বিদ্যমান যেসব আধিপত্যমূলক চুক্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিল বা সংশোধনের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।
12. কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, সার, সেচ ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিতে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
13. জুলাইয়ের অন্যতম প্রধান সহযোদ্ধা আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত রেমিট্যান্স যাদু আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ৷ তাই সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইবোন ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, এয়ারপোর্টে তাদের যেসকল অপ্রয়োজনীয় ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়, সেগুলা দূর করা ও যাত্রীদের কষ্ট লাঘবে কার্রযকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকাররে চাপে রাখা৷
14. ৬৮ হাজার গ্রামের দেশ বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষায় গ্রাম-প্রতিরক্ষা কমিটি গড়ে তুলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সীমান্ত প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে সহযোগিতা করা।
15. ছিন্নমূল মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় ও প্রাইভেট উদ্যোগের সমন্বয়ে মাথাগোজার আশ্রয় নিশ্চিতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়া৷

আমরা ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক সুযোগকে দেশ গঠনের কাজে লাগিয়ে আগামীর প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটা বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই৷